ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) --- তারকা ক্রিকেটাররা খেলছেন বলে জাতীয় ক্রিকেট লিগের নবম রাউন্ডকে শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আর জাতীয় দলের সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় যেহেতু খুলনা ও ঢাকা দলের, এই দু'দলের ম্যাচের দিকেই তাই দৃষ্টি সবার। আশাবাদী হওয়ার মতো খবর হচ্ছে, রোববার থেকে শুরু চারদিনের ম্যাচে জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানরা কম-বেশি রান পেয়েছেন। ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাকিব আল হাসানের ফিফটিতে ৩৫৫ রানে শেষ হয়েছে খুলনার প্রথম ইনিংস।
আর যার ব্যাটে রান দেখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরী এখন, সেই মোহাম্মদ আশরাফুলের সামনেও এখন বড় ইনিংস খেলার মঞ্চ তৈরি। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিশাল রানের জবাব দিতে নেমে প্রথম দিনের বিকেলে চরম বিপদেই পড়ে গিয়েছিল তার দল ঢাকা। মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার আনামুল হককে (১৩*) নিয়ে বাকি সময়টা পার করে দেওয়ার পথে খুলনার বোলারদের ওপর চড়াও হতেও দ্বিধা করেননি জাতীয় দলের অধিনায়ক। একারণেই তার ১৬ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসে দুটো বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কার মারও আছে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার ইনিংসে ইমরুল এবং সাকিব ছাড়াও ফিফটি আছে অধিনায়ক তুষার ইমরানেরও (৫৪)। ইমরুল ৭৫ বলে করেছেন ৫৮ রান। তুলনায় দ্রুতগতির ইনিংসই খেলেছেন সাকিব, তার ৫৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে বাউন্ডারির মার ১১টি। খুলনার ইনিংসে প্রায় ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস আছে আরো দুটো, উইকেটকিপার সগীর হোসেন আউট হয়েছেন ৪৮ রানে। তবে খুলনাকে সাড়ে তিনশো পার করিয়েছে পেসার জিয়াউর রহমানের ব্যাট। ২৯২ রানে অষ্টম উইকেট হারানোর পর মাত্র ৩৬ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
সাত বাউন্ডারি ও দুই ছক্কার এই ইনিংসের সময় তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আরেক পেসার ডলার মাহমুদও। মাত্র ২২ বলে তার ৩৩ রানের ইনিংসে নবম উইকেটে যোগ হয় ৫৩ রান। এই জুটি ভাঙ্গা পেসার মাহবুবুল আলম রবীনকে দিনের শেষে সফলই বলতে হয়। কারণ জাতীয় দলের এই পেসার ৮২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তবে ঢাকার সফলতম বোলার মার্শাল আইয়ুবই। কারণ চার উইকেট নিতে এই লেগস্পিনারের খরচ হয়েছে মাত্র ৩৬ রান। তুষার-সাকিবরা সবাই তারই শিকার।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বরিশালের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ২৪৪ রানে। এই রানও হত না যদি ১৭০ রানে অষ্টম উইকেট খোঁয়ানোর পর পেসার তালহা জুবায়ের ব্যাটসম্যান না হয়ে উঠতেন। তিনি ৪৭ রান করেছেন বলে রক্ষা। তবে চল্লিশোর্ধ ইনিংসও আছে তিনটি। নাসির হোসেন (৪৯) ও আরাফাত সালাউদ্দিনদের (৪১) সঙ্গে এর একটি খেলেছেন জাতীয় দলের রকিবুল হাসানও (৪৩)। দিনের শেষে চট্টগ্রামের অবস্থা ১ উইকেটে ৫২।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে রাজশাহী-সিলেট ম্যাচ শুরু হলেও খেলা হয়েছে মাত্র ৩০.৩ ওভার। ভারী কুয়াশার কারণে খেলাই শুরু হয়েছে দুপুর ২টা ১০মিনিটে। আলোর স্বল্পতায় বিকেলে খেলাও শেষ করতে হয়েছে আগেভাগেই। এরমধ্যে ৫৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা রাজশাহী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমপি/এমএম/১৯৫০ঘ.